একজন অন্তর্মুখী মানুষকে চিনবো কিভাবে?


⚪ফোনের রিং শুনে আসতে আসতে লাইন কেটে গেলে এঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।


⚪রি-ইউনিয়ন বা গেট টুগেদারে এঁদের তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না।

বন্ধুর সংখ্যা নিতান্তই সীমিত।


⚪কথা বলার চেয়ে শুনতে বেশি পছন্দ করেন। এঁরা বেশ ভালো মানের শ্রোতা।

ভালো পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেন।


⚪নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে এঁদের রাজ্যের সংকোচ।

মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন।


⚪অকারণ আড্ডা এঁদের পোষায় না। তবে পছন্দের বিষয়ে কথা বলতে দিলে এঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে যেতে পারেন।


⚪এঁদের পছন্দকারী মানুষের সংখ্যা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে কম হয়। অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য অনেকেই অহংকারী ভেবে বসতে পারে।

প্রতিবেশীরা এঁদের নাম না-ও জানতে পারেন।


⚪ঋণ নিতে কুন্ঠিত বোধ করেন। একান্ত বাধ্য হয়ে নিলেও যতটা দ্রুত সম্ভব পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। উদ্দেশ্য - মানুষের সাথে যোগাযোগ কম রাখা।

কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগ্রহী নন। স্পটলাইট থেকে সর্বোচ্চ দূরত্ব বজায় রাখেন।


⚪এঁদের রাগের তুলনায় অভিমানের মাত্রাটা একটু বেশি-ই হয়ে থাকে।

সাধারণত ঘরকুনো। পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে বৃষ্টির দিনে লেপ মুড়ি দিয়ে নন-ফিকশন পড়া এঁদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের।


⚪এঁদের জন্মদিনের তারিখ খুব কম মানুষ-ই জানে।


⚪অনেক সময় আনস্মার্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।


⚪খুব কাছের মানুষ বাদে এঁদের বিশেষ দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো সম্পর্কেও তেমন কেউ জানে না।


⚪মানুষের অঙ্গভঙ্গি বা বডি ল্যাংগুয়েজ সাধারণত এক্সট্রোভার্টদের তুলনায় বেশি বিশ্লেষণের ক্ষমতা রাখেন।


⚪অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কৌতূহল কম থাকে, বা থাকলেও সেভাবে প্রকাশ করেন না।


⚪এঁদের নিজস্ব কল্পনার জগৎ থাকে। আর তা আপনার ধারণার চেয়েও বহুদূর বিস্তৃত।


⚪অতিথিরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে এঁদের উপস্থিতি টের পান না।

খুব পরিচিত কিছু মানুষ ব্যতিত কারো মেসেজের রিপ্লাই দিতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেন। এঁদের অনেকেই আবার বেশ গুছিয়ে কথা বলতে বা লিখতে সক্ষম।


⚪বাসের সবচাইতে কোণার সিটখানা বা ক্লাসের শেষের দিকে বেঞ্চগুলোই এঁদের বেশি প্রিয়।


⚪নিজেকে কারো পছন্দের যোগ্য বলে ভাবতে ভয় পান।

রাস্তায় হঠাৎ কোনো পরিচিতকে দেখতে পেলে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার চেয়ে ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া বা টুক করে পাশের গলিতে ঢুকে পড়ার কাজটাই বেশি করে থাকেন।


⚪সবশেষে একটাই কথা বলবো, আপনি কি কখনো আপেল আর কমলার মধ্যে ভালো-খারাপের তুলনা করেছেন? একজন অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখীর মধ্যে তুলনা-ও ঠিক একই রকম অর্থহীন। অনেকে শুনেছি অন্তর্মুখী থেকে বহির্মুখী হওয়ার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তার সত্যিই কোনো প্রয়োজন রয়েছে কি? যে যেমন সে তার মত করেই ভালো থাকুক না, সমস্যা কোথায়?!

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post